Saturday, 13 August 2016

Kiam Metal Industries Ltd.: In fact, your mind is like the job ?

Kiam Metal Industries Ltd.: In fact, your mind is like the job ?: আপনার মনের মতো চাকরি আসলে কোনটি ? কর্মজীবনে কোন পথে এগোবেন ? এ চিন্তাটা বড়ই ধোঁয়াশাপূর্ণ। তবে পছন্দের চাকরি খুঁজে পেতে...

A new possibilities

মেলছে সম্ভাবনার ডানা



বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় বছর গবেষণার পর তিতিরের বাণিজ্যিক পালনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে গবেষকদল। ইনসেটে তিতিরের ডিম। 


তিতির। সচরাচর দেখা যায় না এই পাখি। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে পাখিটি বেশ অপরিচিত। প্রায় ৭০০ বছর আগে বন-জঙ্গল থেকে গৃহপালিত পাখির কাতারে আসা আফ্রিকান এ পাখিটি ইউরোপ হয়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ সময়ে আসে দক্ষিণ এশিয়ায়। এ দেশে চায়না মুরগি হিসেবে পাখিটির সামান্য পরিচিতি থাকলেও বাণিজ্যিক পোল্ট্রির দাপটে বিলুপ্তির পথে হাঁটছে তিতির। আইইউসিএন এই প্রজাতিটিকে আশঙ্কাহীনঘোষণা করেছে। তবে বাংলাদেশে পাখিটি মহাবিপন্নহিসেবে বিবেচিত। এত কিছুর পরও মহাবিপন্ন এই পাখিটির বাংলাদেশে বাণিজ্যিক লালন-পালনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় চলছে তিতির গবেষণা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন করছে এই গবেষণার অর্থায়ন। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে গবেষণার পর পাখিটির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস। ডিম আর মাংসের উৎস চিন্তা করলে পাখিটি দারিদ্র্য বিমোচনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গবেষকরা।
ড. সুবাস জানান, তিতিরের রয়েছে তিনটি প্রজাতি। এর মধ্যে একটি প্রজাতির তিতির নিয়ে গবেষণা করে সম্প্রসারণে সফলতা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় পাখিটি বিনা মূল্যে বিতরণও করা হয়েছে। তিনি যে প্রজাতির তিতির নিয়ে গবেষণা করেছেন সেটির  বৈজ্ঞানিক নাম ঘঁসরফধ সবষবধমত্রং। এ প্রজাতির তিতিরের দৈর্ঘ্য কমবেশি ৩৪ সেন্টিমিটার, ডানা ১৫ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ২.৪ সেন্টিমিটার, পা ৪.৮ সেন্টিমিটার ও লেজ ১০ সেন্টিমিটার। পুরুষ ও স্ত্রী তিতিরের চেহারা ভিন্ন। সচরাচর একাকী কিংবা জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে বেড়ায় এই পাখিটি। খাদ্যতালিকায় রয়েছে বীজ, শস্যদানা, কচি কাণ্ড, ফল ও পোকামাকড়। ঊষা ও গোধূলিতে এরা বেশি কর্মচঞ্চল হয়।
গবেষক আরো জানান, সংক্রমণ বা পরজীবী তিতিরকে সহজে
আক্রমণ করতে পারে না। ফলে খামারে তিতির পালন করতে আলাদা কোনো ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধের প্রয়োজন হয় না।  প্রতিকূলতার সঙ্গে বাণিজ্যিক মুরগি চলতে না পারলেও তিতির চলতে পারে। বছরে একটি তিতির ১০০ থেকে ১২০টি ডিম দেয়। ডিমগুলো হলদে জলপাই থেকে হালকা জলপাই বাদামি বর্ণের হয়। ডিম থেকে বাচ্চা উত্পাদন ও পালনের সবগুলো ধাপ বাকৃবি গবেষণা খামারে শেষ হওয়ার পর এখন তিতির ছড়িয়ে পড়ছে উদ্যোক্তাদের খামারে। খামারে তিতির পালন করে দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব।
ড. সুবাস জানান, দেশি মুরগি খামারে ছয় মাসে ৭০০-৮০০ গ্রাম বা সর্বোচ্চ এক কেজি ওজনের হয়। কিন্তু তিতির ১৫০০ থেকে ১৬০০ গ্রামের হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি ওজনের হয়। তিতিরের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এ কারণে এর চাহিদা দেশী মুরগির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। বাজারে প্রতিটি তিতির ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন তিতিরের খাবার খরচ পোল্ট্রি বা দেশী মুরগীর চেয়ে অনেক কম হওয়ায় খামারীরাও পাখিটির বাণিজ্যিক পালনে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

Smoking causes heart attack :

ধূমপানে হার্ট অ্যাটাক :


আমেরিকার প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তথা সার্জেন জেনারেল ডা. রেগিনা বেনজামিন বলেন সিগারেট, বিড়িতে টান দেয়া মাত্রই শরীরের কোষগুলোর উপর ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে থাকে যার ধারাবাহিকতার জেরে পরে ক্যানসার হয় ¯্রফে একটা বিড়ি বা সিগারেট টেনেছেন কী, তার জেরেও ধমনি রুদ্ধ হয়ে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক! এভাবেই দুনিয়াবাসীকে সর্তক করেছেন তিনি বলেন, প্রতিটি সুখটানেই শরীরের মধ্যে শয়ে শয়ে বিষ রাসায়নিক ঢোকে ধূমপানবাহিত এইসব বিষ সুখটান দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রক্ত টেনে নেয় সমস্ত দেহযন্ত্রে ছড়িয়ে পড়ে এখনকার সিগারেট বড় দ্রুত নিকোটিন আত্মসাৎ করায় রক্তের মধ্যে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটিয়ে এমন হাল করে যে রক্ত আঠালো হয়ে জমাট বাঁধতে থাকে ইতিমধ্যে সংকুচিত হয়ে থাকা ধমনি এই রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অবরুদ্ধ হয়ে হার্ট অ্যাটাক হয় আর এই অ্যাটাকটা হয় কিছু বুঝে উঠার আগেই যারা ভাবছেন সিগারেট/বিড়ি টেনে এখনও তো খুব ভালো আছি, তারা ভুল করছেন আবার যারা ভাবছেন, অনেকদিন তো ধূমপান করি না, আর এই একবারই না হয় ধূমপান করলাম এদের জন্য ডা. বেনজামিনের হুঁশিয়ারি, ওই এক সিগারেট ধূমপানের বিপদ সম্পর্কে ৭০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দাখিল করেছেন রাষ্ট্রপতি ওবামা নিযুক্ত এই সার্জেন জেনারেল রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, পুয়েবলো, কলোরাডোতে নিষিদ্ধ করা হয় ২০০৩ সালে ঠিক তার বছর বাদে দেখা গেল সেখানে হার্টের রোগভোগের কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ৪১ শতাংশ কমে গেছে নিকোটিন বিশেষজ্ঞ ডা. কে মাইকেল কামিংস সার্জেন জেনারেলের ৭০০ পৃষ্ঠায় রিপোর্ট খাতিয়ে দেখার পর ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করেছেন, ধূমপান তথা তামাকজাত যে কোনও নেশাই যে অবিলম্বে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত তা বোঝাতে দেশের আইনসভায় আর কত রিপোর্ট দাখিল করতে হবে? দেশে যত মানুষ এখন হাসপাতালে ভর্তি, তার এক তৃতীয়াংশই ধূমপানজনিত রোগের শিকার ডা. বেনজামিনের রিপোর্ট পরিসংখ্যান পেশ করে বলা হয়েছে ফি-বছর আমেরিকায় যত লোক মারা যান, তাদের মধ্যে প্রতি জনে একজনের মৃত্যুর কারণ ধূমপানজনিত রোগভোগ এরপরই ডা. বেনজামিনের পরামর্শ, আপনার বয়স যদি ৭০ থেকে ৮০- মধ্যে হয়, আপনি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, সিগারেট-বিড়ি ছেড়ে দিন বেশিদিন সুস্থ থাকবেন, কিছুদিন বেশি বেঁচে থাকার আনন্দ পাবেন ধূমপান এবং তামাকজাত নেশা ছেড়ে দিতে পারলে কী লাভ তারও তালিকা দিয়েছেন তিনি সেখানে জানিয়েছেন: ব্লাড প্রেসার এবং নাড়ির স্পন্দন গতি স্বাভাবিক হয়ে আসে ধূমপান ছাড়ার ২০ মিনিট বাদেই রক্তে নিকোটিন এবং কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ অর্ধেক কমে যায় ঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসে সিগারেট-বিড়ি টানা ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড শরীর ছেড়ে পালিয়ে যায় ফুসফুস শ্লেষ্মা বের করে দিতে থাকে ধূমপানের কারণে যে সমস্ত আবর্জনা জমেছিল অন্দরে সেসব বেরিয়ে যেতে থাকে ৪৮ ঘণ্টা বাদে নিকোটিন-বিষমুক্ত হয়ে যায় শরীর জিভের স্বাদ গ্রহণের যোগ্যতা বাড়ে গন্ধ শোঁকার যোগ্যতাও বাড়ে ৭২ ঘণ্টা বাদে শ্বাস টানার সমস্যা দূর হতে থাকে ফুসফুস ভালোভাবে কাজ করতে পারায় থেকে মাসের মধ্যে কফকষ্ট, সাঁই সাঁই করে নিশ্বাস নেয়ার কষ্ট দূর হয় বছর ধূমপান ছেড়ে থাকতে পারলে ধূমপায়ীদের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অর্ধেক কমে যায় ধূমপান ছাড়ার ১০ বছর বাদে ধূমপায়ীদের তুলনায় ফুসফুসের ক্যানসারে ভোগার আশঙ্কা কমে ডা. বেঞ্জামিন তার রিপোর্টে আরও জানিয়েছেন, ডায়াবেটিকরা যারা সিগারেট খান তাদের ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার সমস্যা হয় গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে গর্ভপাত হয় কিংবা আগেভাগে ভূমিষ্ট হয়ে যায় শিশু যে মহিলারা ধূমপানে অভ্যস্ত তাদের সন্তান না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় পরবর্তীতে জীবনের পাঁচটি বসন্ত যেতে না যেতেই ওই শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে বেশি অনেক শিশুই মারা যায় সেই সাডেন ইনফ্যান্ট সিনড্রোম ডেথ- এই রিপোটের সারাংশ আগেভাগেই পেয়ে গিয়েছিলেন বারাক ওবামা গত মাসে তাই মার্কিন রাষ্ট্রপতি একটিও সিগারেট টানেননি না, একটিও নয় জানাচ্ছেন হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র রবার্ট গিবস উল্লেখ্য, তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজারেরও বেশি রাসায়নিক এবং যৌগ ক্যানসার সৃষ্টিকারী সিগারেটের চেয়ে বিড়িতে কার্বন মনোক্সাইড এবং অন্যান্য বিষ যৌগ বেশি পরিমাণে থাকে তাই বিড়ি বা সিগারেট ফুঁকেই মৃত্যুর হার বেশি